দলিল অনেক সময় জাল হয়ে থাকে। কারণ, অসাধু ব্যক্তিবর্গ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অনৈতিক পন্থা ব্যবহার করে থাকে। তবে জাল দলিল সম্পাদন করলে রয়েছে উপযুক্ত শাস্তির বিধান। কারণ জাল দলিল ব্যবহার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শৃংখলা ভঙ্গের কাজে নিয়োজিত করা হয়ে থাকে ।
অনেক সময় দেখা যায়, মালিকের ছদ্মবেশে কাউকে মালিক সাজিয়ে জমি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে কিছু অতি মুনাফালোভী অসৎ কর্মচারীর যোগসাজশে দলিল জাল করে থাকে। এক্ষেত্রে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সিল-সইও ভুয়া হতে পারে বা দলিল সম্পাদনকারীদের সই ও সিল জালিয়াতি করে দলিল জাল হতে পারে ।
আবার বণ্টননামার ক্ষেত্রে সহ-শরিকদের অজান্তে ভুয়া বণ্টননামা করে দলিল জাল করতে পারে। সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে আদালত থেকে বণ্টননামা সম্পন্ন করা হয় না, সে ক্ষেত্রে দলিল জালের সম্ভাবনা বেশি থাকে। গ্রামের লেখাপড়া না জানা লোকদের বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক সময় তাদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করা
হয়।
অনেক সময় জমির মালিক বিদেশে থাকলে মূল দলিল থেকে জালিয়াতি করা হতে পারে বা অনেক সময় ঘষামাজা করে এবং ওভাররাইটিং বা কাটাছেঁড়া করেও দলিল জাল করতে পারে বা আবার মূল তারিখ ঠিক রেখে দলিলের বিষয়বস্তু জাল করতে পারে ।